রাস্তায় ভোগান্তিতে পশ্চিম চরাদীর এলাকাবাসী, নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের।
বাকেরগঞ্জ থানাধীন ২ নং চরাদী ইউনিয়ন একটা জনবহুল গ্রাম, পশ্চিম চরাদী। এই গ্রামে প্রায় ১০,০০০ মানুষের স্থায়ী বসবাস। দুইটা আলিম মাদ্রাসা ও দুইটা প্রাথমিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। আরো রয়েছে হাট বাজার ছোট বড় ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। এতো জনবহুল গ্রাম অঞ্চলে নেই পর্যাপ্ত যাতায়াত ব্যবস্থা নেই কোন ক্লিনিক সাস্থ সেবা কমপ্লেক্স। দৃষ্টি নেই কোন জন প্রতিনিধির যুগ পেরিয়েছে বরিশাল-৬ আসনের এমপি বেগম রতনা আমিন কখনো এই গ্রামের দিকে শুদৃষ্টি দেইনি বলে যানা যায়। গ্রামের চার পাশেই নদী গ্রামের বাহিরে আসা যাওয়ার জন্য সবাইকে নৌকায় নদি পার হয়ে সহরে যেতে হয় ।
রানির হাট বাজার সেতু একটা মাত্র স্থল পথ আছে কিন্তু পশ্চিম চরাদী থেকে রানির হাট ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা এখানের চেয়ারম্যান, জনাব শফিকুল আলম এই বিষয় তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি বলে যানা যায় বিগত বছরে রানির হাট থেকে খাসের হাট বাজার প্রজন্ত নদির পার পাইলিংয়ের কাজ আসে তাতেও দেখা যায় অনিয়মের ছোয়া। পাইলিং এর কাজ করানোর সময় অনেক অংশ ভেঙে যায় নদীতে পরে দুই তিন মাসের মধ্যে পাইলিং ভেঙে নদিতে নেমে যায়।
স্থানীয় ঠিকাদার প্রভাবশালী থাকায় এই বিষয় এলাকাবাসী কোন কথা বলতে পারেনি স্থানীয় সাংবাদিকরা এই বিষয় প্রতিবেদন করতে চাইলে তাতেও বাধা প্রধান করে বলে যানা যায়। রানির হাট থেকে খাসের হাট ২ কিলোমিটার রাস্তা নদীর কাছে হওয়ার একটা বড় অংশ নদীতে ভেঙে গেছে এবং বাকি অংশ অযত্নে পরে আছে যাতে অটো মাহিন্দ্র গাড়ি চলাচল এর অযোগ্য হয়ে পরেছে এমনকি এখন এই ঝর বৃষ্টিতে হাটাও কষ্ট সাধ্যে হয়ে উঠেছে।
এদিকে রাজা খালি খেয়াঘাটর ৫০০গজ আগে বিগত ১০ বছর আগে বন্নায় পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে এরকম রাস্তার বেহাল অবস্থা এখন থেকে গ্রামবাসীরা বরিশালে মাত্র ২০ মিনিট সময় যেতে পারে অথচ রাস্তায় কালর্বাট না থাকার কারনে অসুস্থ ও বয়স্কদের যাতায়াতে অনেক সমস্যা হয়। এখান থেকে দপদপিয়া ইউনিয়ন কলেজে টিমির কাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও বরিশাল অনেক শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়েত করে তাদেরও অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। পশ্চিম চরাদী দুইটি মাদ্রাসা ও দুইটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এতে চাকরি করা অনেক শিক্ষক এই রাস্তায় আসা যাওয়ার করে।
চরাদী'র বর্তমান চেয়ারম্যান এর বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা জনাব শামদুল আলম চুন্নু বর্তমান বাকেরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিবার নির্বাচন এর আগে দুইভাই প্রচার করে বেরায় নির্বাচন এর পরর্বতীতে উক্ত রাস্তা মেরামত ও খাসের হাট থেকে পশ্চিম চরাদী বড় সিকদার বাড়ি রাজাখালী খেয়া ঘাট রাস্তার মেরামত করে দেয়ার দাবি করলেও তা এখনো করা হয়নি।
এজন্য গ্রামের ১০,০০০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা নদি পথের উপর। কিন্তু এই ঝর বন্যার দিনে সন্ধ্যার পড় নৌকার মাঝিরা চলে গেলে গ্রামের সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় মানুষ ঘর বন্ধি হয়ে পড়ে এমন অবস্থায় কেউ অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থায় বাধাগ্রস্ত হয়ে পরে। তাই স্থানীয় সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গ্রাম বাসীর আবেদন অতি দ্রুত এই ৪ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত সহ খেয়াঘাট ভাঙা রাস্তায় একটা কালভার্ট নির্মাণ করে গ্রামবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির দাবি জানান।
Post a Comment