বাশের ইতিহাস
তবে কি যানের এতো কিছুর মধ্যেও বাশের অনেক ভালোগুন রয়েছে। বাংলাদেশের পাহাড়িদের জীবনযাত্রায় বাশ অনেক ভুমিকা রাখে। তাদের বাড়ি ঘড় তৈরি, থেকে শুরু করে আসবাবপত্র বেশির ভাগই বাশ দিয়ে তৈরি। বাশ খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হয় যার চাহিদা অনেক। রান্না করে খাওয়া যায় যখন কোন বাশের অংকুর, কোরাল বা চারা বের হয় তখন তা নরম ও সাদা থাকে যা বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে বাশের সাদা নরম অংশ রান্না করে খাওয়া যায়।
রান্না করে খাওয়ার জন্য বিশেষ এক পদ্ধতি রয়েছে।
প্রথমঃ যখন বাশের কোন বা কোরাল মাটি ফুরে বের হবে তখন একটা মাটির হাড়ি দিয়ে সুন্দর ভাবে ঢেকে দিতে হয়।
দ্বিতীয়ঃ পরিচর্যা করতে হবে মাঝে মাঝে দেখতে হবে বাশ ঝারের চার পাশে পর্যপ্ত পানি আছে কিনা না থাকলে পানি দিতে হবে কোন ভাবেই যাতে পানি শুকিয়ে মাটি সংকোচিত বা ফাট না ধরে এতে মাটির ভিতরে থাকা ছোট বাশ শুকিয়ে শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তৃতীয়ঃ নির্দিষ্ট একটা সময় মাটির হাড়ি টায় ছোট বাশ টা সাপের ন্যায় গোল পাকিয়ে ভরে যাবে তখন মাটির হাড়িটা ভেঙে ভিতরে থাকা সম্পূর্ণ বাশ টা বের করে নিবে। এবং নরম অংশ কেটে নিবে যা রান্না করে খাওয়ার উপযুক্ত।
পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙালিরাও অনেকে বাশ খেতে পছন্দ করে। বাশের তৈরী স্যুপ, সালাদ, তরকারি বেশ জনপ্রিয়। এবং বাশ মাংস দিয়েও সুন্দর রান্না করা যায়। এতো গেলো খাওয়া পাঠ, এবার আসি দৈনান্দিন কাজে বাশের ব্যবহার। লম্বা ও সরু হওয়ায় সজজেই ঘড়ের খুটি চালা ও বেরার জন্য ব্যবহার করা যায়। বাশের চেয়ার বানানো যায়, সোয়ার চকিতে বাশ ব্যবহার করা যায়। বাশ জ্বালানী হিসেবে খুব ভালো।
বর্তমানে বাশের বিভিন্ন সঁপিস বাজারে পাওয়া যায় যা খুবি মূল্যবান ও সবার জনপ্রিয়। যার মধ্যে রয়েছে বাশের চামচ, বাশের মগ, বাশের কাপ, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ছবির ফ্রেম হিসাবেও বাশের খুব ব্যাবহার করতে দেখা যায় এক কথায় বাশের ব্যপক বিস্তার।পরিশেষে মুসলিম ধর্মীয় অনুশারে বাশ শেষ বিদায়ে কবর ঘরের উপরে দেয়া হয়। বাশ অনেক মজুবুত এবং নষ্ট হয় খুব দেড়িতে এজন্য বাশ শেষ বিদায়ী ঘড়ে ব্যবহার করা হয়। বাশ সত্যিকার অর্থে আমাদের এক পরম বন্ধু গাছ।
Post a Comment