কারিগরি শিক্ষার মূল্য বোধ, আবার হবে কি কারিগরি শিক্ষায় ধ্বস?

কারিগরি শিক্ষার মূল্য বোধ, আবার হবে কি কারিগরি শিক্ষায় ধ্বস?

দেশ গড়ার হাতিয়ার কারিগরি শিক্ষা কিন্তু বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে চলনার শেষ নেই বিশেষ করে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা সব চেয়ে অবহেলিত। আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সংখ্যা তথ্য মতে ১৪৯ টি। এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরো ২০০ টি এতো এতো টেকনিক্যাল স্কুল কলেজে থাকা সত্যেও আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার নেই যারা। 

ক্লাসের থিউরি পরে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে অদক্ষ বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিতে রেজাল্ট নয় কাজ দেখে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো ব্যবহারিক কাজ অনেক কম শিক্ষা দেয় বলে পাস করার পড় শিক্ষার্থীরা চাকরিতে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। তার উপর সবাই অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করতে চায় সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার পাওয়ার দূস্কর হয়ে দাড়িয়েছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে।

আরো পড়ুন

আমাদের কলেজ প্রতিষ্ঠান গুলোতে নেই ব্যবহারিক কাজ শেখার পর্যাপ্ত টুলস ও পরিবেশ প্রায় সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শিক্ষক সংকট, ক্লাস রুম কম, নেই ল্যাব ও ল্যাব শিক্ষক। এতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেড় হচ্ছে দেশের সেবা করার নিয়ত নিয়ে কিন্তু আমরা আসলেই কি সেবা দেয়ার মতো ক্ষমতা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি ?

শিক্ষার্থীরা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির জন্য আবেদন করলে তাদের প্রাথমিক ভাতা ধরা হয় খুবই সামান্য যা বর্তমানে একজন মানুষের খাবার টাকা হয়না এভাবে যদি হয় অবহেলায় আমাদের মূল্যায়ন করা হয় তাহলে সরকার যতোটা লাফালাফি করে কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে চেয়েছে ঠিক ততটাই বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যাবে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষার আগ্রহ হারাবে, এতে আবার ইন্ডাস্ট্রি ঝুকিতে পতিত হবে। অর্থনীতির সংকট বারার সাথে সাথে বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার এনে কাজ করানোর ফলে অনেক অর্থ খবর করতে হবে ইন্ডাস্ট্রিগুলোর। বর্তমান দেশিও ইঞ্জিনিয়ার দের সঠিক মূল্য না দিয়ে যে অনিহা সৃষ্টি করছে কারিগরি শিক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছে তার চরম মূল্য দিতে হবে একদিন।