ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন, গুজব ছড়িয়ে আপন দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা, পুলিশ সহ আহত ৭ জন। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের আপন দুই ভাই আশরাফুল (১৮) ও তারই আপন ছোট ভাই আসাদুল (১৫ ) নির্মাণ শ্রমিক। একই উপজেলার ডোমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেট নির্মাণের কাজ করছিল তারা সহ আরো কিছু নির্মাণ শ্রমিক, তখন ওই গ্রামে থাকা একটি কালী মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন সন্ধেহে আপন দুই ভাই আশরাফুল ও আসাদুল কে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।
তৎখনাত খবর পেয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুন আহমেদ অনিক ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ও নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
রাত তিনটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থানে অবস্থান করেন এবং ওই এলাকার উত্তেজনা পূর্বোক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিপি র্যাব ১০ ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নিহত দুই ভাই আশরাফুল ও আসাদুলের লাশ তার গ্রামের বাড়ি মধুখালী উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন চোপের ঘাট গ্রামের বাড়িতে পৌছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। এখানে হাজার হাজার মানুষ একনজর দেখার জন্য হাজির হয়। সবার একটাই দাবি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাশি কার্যকর করা হোক।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান তালুকদার বলেন হত্যা যারাই করুক তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না আপনারা বিশ্বাস রাখুন দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করব বলে আশ্বাস দেন তিনি নিহত পরিবারের সকল বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ মোরশেদ আলম তিনিও বলেন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে ও নিহত পরিবারের পাশে আমরা সর্বদাই সহযোগিতা করব।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন আমরা জানাযা সম্পন্ন করে এখান থেকে থানায় গিয়ে মামলা রুজু করে তারপরে ফরিদপুরে ঘটনা স্থান পরিদর্শনে যাবো। শোনা যায় ঐ এলাকায় কালি মন্দিরে মূর্তির কাপুরে আগুন লেগেছে দেখে সবাই হন্তদন্ত হয়ে পরে সন্দেহ করে ওইখানে কর্মরত দুই নির্মাণ শ্রমিকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন পরে তাদের সাথে থাকা আরো মানুষকে তারা আক্রমণ করে এতে আরো প্রশাসন সহ আরো ৭ জন আহাতো বলে যানা যায়।
إرسال تعليق